শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রী’র পরিচয় পেতে ফারজানা আক্তার সুমি নামে এক শিক্ষার্থী স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে এ সংবাদ সন্মেলন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে ফারজানা আক্তার সুমি বলেন, ’সে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের চুঙ্গাপাশা গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। বর্তমানে বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। তার সাথে অন্ততঃ আড়াই বছর আগে একই উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের নাজির হাওলাদারের ছেলে বর্তমানে নর্দান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত মো. বায়েজিদ আহম্মেদ’র ফেসবুক’র মাধ্যমে পরিচয়। সেই থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বায়েজিদ বরিশাল এসে তার সাথে দেখা করে। এভাবে বিষয়টি ঘনিষ্ঠতায় রূপ নিলে বায়েজিদ তার সাথে স্বামী-স্ত্রীর মত আচরন শুরু করে। এরপর ফারজানা একত্রে তার সাথে রাত্রি যাপনে আপত্তি জানালে সে হুজুর ডেকে তাৎক্ষনিক কাবিন ছাড়াই কলেমা সম্পন্ন করে। পরে স্ত্রীর মর্যাদায় বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন হোটেলে রাত্রি যাপন করে। এমনকি মাঝে মাঝে তাকে লঞ্চ যোগে ঢাকায়ও নিয়ে যায়। এদিকে ফারজানার পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তার ভালবাসার টানে তা প্রত্যাখান করে দেয়।
অপরদিকে বায়েজিদকে স্ত্রী’র মর্যাদা দিতে বললে তিনিও টালবাহানা শুরু করে। এতে ফারজানা আক্তার সুমি গত ২৯ ডিসেম্বর বায়জিদের বাড়ীতে অবস্থান নিলে বায়েজিদ’র মা তার সাথে ছেলের স্ত্রী’র মতই আদর আপ্যায়ন করেন। সে সময় সুমিকে বুঝিয়ে কোন মতে শালিস বিচারের নাম করে তাকে তার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে শনিবার (১১ জানুয়ারী) ফারজানা আক্তার সুমি বেলা ১১ টার দিকে পুনরায় স্ত্রী’র মর্যাদা পেতে ওই বাড়ীতে অবস্থান নিলে বায়েজিদ’র পিতা মো. নাজির হাওলাদার তাকে অনেক বকা-ঝকা করে। এক পর্যায়ে কৌশলে ঘটনার সুরাহার কথা বলে পুলিশের আশ্রয় নেয় নাজির । কলাপাড়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. শওকত জাহান তাকে ওই বাড়ী থেকে নিয়ে আসতে গেলে সুমি একমাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশ ছাড়া যাবেন না বলে জানিয়ে দেয়। পরে ইউএনও মো. মুনিবর রহমান সুমিকে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়ে থানায় যেতে বলেন। এরপর থানা কর্তৃপক্ষ কিছুই তাদের করার নেই বলে তার এক আত্মীয়’র মাধ্যমে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
তবে সুমি বায়েজিদ’র স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে বলে ওই সংবাদ সন্মেলনে উল্লেখ করেন। যদিও সংবাদ সন্মেলন না করতেও নাজির হাওলাদার’র পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়া হয়েছে বলে সুমি উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন।